১৬ মে ২০২০
ডেস্ক রির্পোটঃ
হ্যালো, আপনি এমপি শামীম ওসমান সাহেব। ‘হ্যাঁ’ বলতেই ফোনের ওপাশ থেকে গৃহিণীর কান্নার শব্দ।
কেঁদে কেঁদে নিজের অভাবের কথা জানিয়ে বললেন, আমরা অভাবী ছিলাম না। করোনার এই সংকটকালে আমার স্বামীর কাজ নেই। ঘরে টাকা নেই, খাবার নেই। আজকে কিছু না পেলে আমার সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকব।
কথাগুলো শেষ না হতেই শামীম ওসমান বললেন কোথায় থাকেন? ঠিকানা দিন। কোনো চিন্তা করবেনা।
নারায়ণগঞ্জ শহরের জামতলা এলাকার ধোপাপট্রি এলাকা থেকে এক গৃহিণী সাংসদ শমীম ওসমানকে জানায় তার অভাবের কথা।
ওই গৃহিণীর স্বামীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে যোগাযোগ করা হলে ওই ব্যক্তি জানান, কথা শুনেই শামীম ওসমান ওই দিন সন্ধ্যায় আমাদের জন্য ৪ প্যাকেট খাবার, যার মধ্যে তেল, আটা, চাল ও পেঁয়াজ ছিল এবং নগদ ১০ হাজার টাকা একটি লোক মারফত পাঠিয়ে দিয়েছেন। আপনারা ইচ্ছা করলে আমাদের নাম প্রকাশ করতে পারেন। তবে এই মুহূর্তে একটি কাজ হলে ভালো হতো। অন্তত চেয়ে খেতে হতো না।
খাবার ও টাকা পৌছে দেওয়া গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, এমপি শামীম ওসমান পত্নী লিপি ওসমান গোপনে প্রকাশ্যে যেখানে যেভাবে দেওয়া দরকার খাদ্যসামগ্রী দিয়ে যাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ মোটরসাইকেল টিম দিয়ে রাতের আঁধারে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। দুজনের মোবাইলে ম্যাসেজ দিলেই পৌছে দিচ্ছেন খাদ্যসামগ্রী। শহরে জামতলা এলাকার পরিবারটি অভাবী ছিল না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির শিকার।
প্রসঙ্গত, ওসমান পরিবারের সদস্যরা করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম থেকেই ত্রাণ বিতরণসহ নানা কর্মকাণ্ডে নেমে পড়ে। এ ছাড়া শামীম ওসমান ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ কোটি টাকা বিতরণ করেন। পত্নী লিপি ওসমান এ পর্যন্ত ৫-৬ হাজার পরিবারের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন এবং শামীম ওসমানের একমাত্র ছেলে অয়ন ওসমান ও ত্রান বিতরন ও বিভিন্ন কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন।