আজ ২৫ বৈশাখ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মদিন। করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেও নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে তার জন্মদিন।
১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে এই মানুষটির জন্ম হয়। তিনি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদা দেবীর বেঁচে থাকা ১৩ সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন।
জন্মদিনের আড়ম্বর নিয়ে কবি নিজেই ১৩৪৩ সালে প্রবাসী পত্রিকায় লিখেছিলেন- “খ্যাতির কল বরমুখর প্রাঙ্গণে আমার জন্মদিনের যে আসন পাতা রয়েছে সেখানে স্থান নিতে আমার মন যায় না। আজ আমার প্রয়োজনে স্তব্ধতায় শান্তিতে।”
কবিগুরু ছিলেন একজন কবি, ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক ও সুরকার যার রচনা উনিশ শতকের শেষের দিকে এবং বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বাংলা সাহিত্য ও সংগীতকে নতুন রূপ দিয়েছে
১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলির জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী। তার দুটি গান বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত।
অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে তিনি বিস্তৃত করেছেন বাংলা সাহিত্যের পরিসর, সম্প্রসারিত করেছেন বাঙালির ভাব জগৎ। অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, জীবন-সংগ্রামের প্রতিটি ক্রান্তিকালে বাংলা, বাঙালির পাশে থাকেন রবীন্দ্রনাথ। তাই, এই করোনাকালেও রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক।
দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবীন্দ্রনাথকে মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, “পূর্ববঙ্গে তার শিল্পীসত্তা ও মানবসত্তা ঐক্য ও সম্প্রীতির আভায় সমুজ্জ্বল। ফলে সাধারণ বাঙালির দুঃখ-বেদনার কথক হিসেবে যে রবীন্দ্রনাথকে আমরা পেয়েছি তা পূর্ববঙ্গেরই সৃষ্টি। এসবের পাশাপাশি মানুষের প্রত্যক্ষ কল্যাণ কামনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায় নিয়ে ভেবেছেন।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বসাহিত্যের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। বাংলা ও বাঙালির অহংকার। প্রতিভা ও শ্রমের যুগলবন্দীর সম্মিলনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে বাংলা সাহিত্যকে করেছেন ঐশ্বর্যমণ্ডিত।