৩০/৬/২০২০,অনলাইন ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ইরান। ট্রাম্পকে ধরতে এমনকি ইন্টারপোলের সহায়তাও চেয়েছে দেশটি।
সোমবার তেহরানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে এপি, রয়টার্স, আলজাজিরাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইরাকে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর দায়ে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
শুধু মার্কিন প্রেসিডেন ট্রাম্প নন, আরও ৩০ থেকে ৩৬ জন এ ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তেহরানের রাষ্ট্রীয় আইনজীবী আলি আলকাসিমেহর ইরানি বার্তা সংস্থা আইএসএনএকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি অবশ্য ট্রাম্প ছাড়া বাকিদের নাম নিশ্চিত করতে পারেননি।
তবে আলকাসিমেহের এটা স্পষ্ট করে বলেন যে, ট্রাম্প অবসরে গেলেও তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য মুখিয়ে থাকবে ইরান।
এদিকে ট্রাম্প ও অন্যদের গ্রেফতারে ফ্রান্সের লিওঁতে অবস্থিত আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের অফিস থেকে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন করেছে ইরান। তবে এখনো সেখান থেকে তারা কোনো জবাব পায়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন উত্তেজনা শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ৩ জানুয়ারি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের বিশেষ বাহিনী কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কাসিম সোলাইমানিকে ড্রোন হামলায় হত্যা করে যু্ক্তরাষ্ট্র। একই ঘটনায় প্রাণ হারান ইরাকের পার্লামেন্টারি বাহিনীর ডেপুটি চিফ আবু মেহদি আল মুহান্দিসও।
জেনারেল সোলাইমানি ছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির পর সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি কেবল খামেনির কাছেই জবাবদিহি করতেন এবং দেশটির সশস্ত্র ও গোয়েন্দা কার্যক্রম নিজেই পরিচালনা করতেন।
ইরাকের সামরিক বাহিনীতেও কুদস প্রধানের ব্যাপক প্রভাব ছিল। তার দি নির্দেশনায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীগুলো নিয়ন্ত্রিত হতো বলে ধারণা করা হয়।