সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাতজনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জেলায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে ৩০ মার্চ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত ৮০ দিনে ৮০৩ জন মারা গেছেন। তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা জানতে নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের (কুমেক) করোনা ওয়ার্ডে মারা গেছেন সাতজন। বুধবার কুমেকের সহকারী সার্জন ডা. মুহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি কুমিল্লা নগরীর কুচাইতলী এলাকা, নাঙ্গলকোট উপজেলার শ্রীপুর, বুড়িচং, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বারাইশ এলাকা ও চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি এলাকায়।
বগুড়ায় মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত শতবর্ষী এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে দু’জন এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশনে একজন মারা যান। তাদের বাড়ি বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়া, বৃন্দাবনপাড়া ও আদমদীঘি উপজেলার শীতলাই গ্রামে।
পিরোজপুরে মঙ্গলবার মারা গেছে তিনজন। মঙ্গলবার রাতে আম্বিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইন্দুরকানী উপজেলার চারাখালী গ্রামের এক ব্যক্তি। একইদিন মারা যান ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় এক স্কুল শিক্ষক ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় এক নারী।
লালমনিরহাটে এ নিয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘনেশ্যাম এলাকায় এক ব্যক্তি ও মঙ্গলবার রাতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খোচাবাড়ি এলাকায় এক নারী মারা যান।
বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের তালতলী এলাকায়।
ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের জামিরদিয়া এলাকায় বুধবার একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কমলনগরে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামে তার মৃত্যু হয়।
চরফ্যাশন পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডে বুধবার এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা বাসস্ট্যান্ডপাড়ায়।
মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বুধবার সকালে মারা গেছেন এক অজ্ঞাতনামা নারী। হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গজারিয়ায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বাড়ি উপজেলার গোসাইরচর ও বাউশিয়া ইউনিয়নের মধ্য বাউশিয়া গ্রামে।
এ নিয়ে ৩০ মার্চ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত ৮০ দিনে ৮০৩ জন মারা গেছেন।