Visit Official Website Visit Official Website Visit Official Website Visit Official Website Visit Official Website Visit Official Website Visit Official Website Visit Official Website Visit Official Website Visit Official Website Visit Official Website Visit Official Website Visit Official Website Visit Official Website Visit Official Website করোনার আঘাতেও উচ্চাকাঙ্ক্ষা জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ আজ – মুক্তির কথা নিউজ
শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪
Home / জাতীয় / করোনার আঘাতেও উচ্চাকাঙ্ক্ষা জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ আজ

করোনার আঘাতেও উচ্চাকাঙ্ক্ষা জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ আজ

১১ জুন ২০২০   SS Apolo

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আঘাতে এ মুহূর্তে দেশের সার্বিক অর্থনীতির প্রায় সব সূচকই নিম্নমুখী। বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও দেশীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে এরই মধ্যে কর্মহীন ও হতদরিদ্র হয়ে পড়েছে কয়েক কোটি মানুষ। বিপর্যয় নেমে এসেছে শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে। বন্ধ আছে সব ধরনের দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ।

স্থবিরতা বিরাজ করছে কৃষি ও পর্যটন খাতে। পুরোপুরি টালমাটাল হয়ে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য খাত। বিগত এক যুগের মধ্যে সবচেয়ে চাপের মুখে রয়েছে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি। প্রবৃদ্ধির হার নেমে আসছে ২০০৮ সালের বিশ্বমন্দার কাছাকাছি।

এমন প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার দ্বিতীয় বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। আজ বেলা সাড়ে ৩টায় জাতীয় সংসদে এ বাজেট (২০২০-২১) প্রস্তাব পেশ করবেন তিনি।

তবে এসব প্রতিকূলতার মধ্যেও অর্থমন্ত্রী প্রবৃদ্ধিকে ৮ দশমিক ২ শতাংশের ঘরে রাখার স্বপ্ন দেখছেন। যেখানে চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মতো অর্জন হতে পারে- এমন ধারণা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর। আর বিশ্বব্যাংকের আশঙ্কা- চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে ১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরে হবে মাত্র ১ শতাংশ। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, সেটি অবাস্তব ও অর্জন কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

আর অস্বাভাবিক ব্যয় মেটাতে ব্যাংক থেকে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার প্রস্তাব করা হচ্ছে নতুন বাজেটে। এতে বাধাগ্রস্ত হবে বেসরকারি বিনিয়োগ। পাশাপাশি বেশিমাত্রায় টাকার প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতির

হারও বাড়বে। এছাড়া বেশি ঋণ নেয়ার কারণে আগামী বছরে সুদ পরিশোধ বাবদ প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা এবং ভর্তুকি বাবদ প্রায় ৪৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

বাস্তবতা কঠিন হলেও উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামের আগামী বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এ ব্যয় মেটাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা। আয় ও ব্যয়ের ফারাক ঘাটতি থাকবে (অনুদানসহ) ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া এ ঘাটতির পরিমাণ হবে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৭ কোটি; যা জিডিপির ৫ দশমিক ৮ শতাংশের সমান। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারই প্রথম ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশ অতিক্রম করেছে।

করোনা মোকাবেলায় বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিলের ঘোষণা দেয়া হবে। বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য খাত উদ্ধারে থাকছে ‘মেগা প্ল্যান’। অপরদিকে করোনাভাইরাসে ব্যবসা বাণিজ্য স্থবিরতা থাকলেও আগামী বছরে রাজস্ব আয়ের বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নতুন করে কোনো ধরনের করের বোঝা চাপানো হবে না। বাড়বে ব্যক্তিশ্রেণির কর আয়ের সীমা। আর সুযোগ থাকছে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত আয়ে কেনা ফ্ল্যাট বা প্লট বৈধ করার সুযোগ।

এবার বাজেটের লক্ষ্য করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও নিম্নআয়ের মানুষকে পুনর্বাসন করা। এজন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানকে। আগামী অর্থবছরে নানা ধরনের কৃষি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা সম্প্রসারণ, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যকে পুনরুদ্ধার করাসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বাজেটে বিভিন্ন প্রস্তাবনা থাকছে। তবে এ বাজেট সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে সরকারকে মুখোমুখী হতে হবে নানা প্রতিকূলতার; যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- প্রবৃদ্ধিতে অসমতা, বিনিয়োগ সংকট, আর্থিক মন্দা ও অতিমাত্রায় ব্যাংক ঋণনির্ভরতা এবং অবাস্তব রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি দ্বিতীয় বাজেট। যদিও প্রথম বাজেট ঘোষণার আগেই বর্তমান অর্থমন্ত্রী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় জাতীয় সংসদে তিনি প্রথম বাজেট বক্তব্য পাঠ করেন। কিন্তু বক্তব্য পড়ার কিছুক্ষণ পরেই সংসদের ভেতরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই দায়িত্ব নিয়ে পুরো বাজেট বক্তব্য পাঠ শেষ করেছিলেন।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের মতে, করোনার কারণে এ মুহূর্তে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড একরকম বন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই রাজস্ব আদায়ের হার নিম্নমুখী থাকবে। কিন্তু সরকারের ব্যয় খুব একটা কমবে না। রাজস্ব আদায়ের বড় খাত ভ্যাট। করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে যে স্থবির অবস্থা চলছে, তাতে ভ্যাট আদায় কমবে।

তাছাড়া আমদানি কমার কারণে এখান থেকে শুল্ক আদায় বাড়ার সম্ভাবনা কম। রাজস্ব আয়ের আরেকটি খাত হচ্ছে ব্যক্তি কর ও প্রাতিষ্ঠানিক কর থেকে প্রত্যক্ষ রাজস্ব আদায়। কিন্তু চলতি সংকটের কারণে সবাই প্রণোদনা বা কর মওকুফ চাইছে। এ খাত থেকেও রাজস্ব আদায় বাড়ানোর সম্ভাবনা কম। ফলে বড় বাজেটের জন্য বড় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে যে বাজেট করতে যাচ্ছে, তা বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অবাস্তব। জিডিপির সঙ্গে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও রাজস্ব আদায়ের প্রক্ষেপণ বাস্তবসম্মত নয়। কারণ সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে করোনা সংকটের এ সময়ে কোনোভাবেই মনে করি না ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। সরকার ঘাটতি পূরণে ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেয়ার চিন্তাও ভালো মনে হচ্ছে না। যখন বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কম, তখন সরকার বড় অঙ্কের ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও কমবে। তাতে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হবে।

বাজেট কাঠামো : মোট ব্যয় ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। মোট আয় ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর রাজস্ব ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, করবহির্ভূত রাজস্ব লক্ষ্য ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তির পরিমাণ হচ্ছে ৩৩ হাজার ৩ কোটি টাকা। আয়ের দিক থেকে আগামী বছরে বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা।

এ বছর সরকারের পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা, এর মধ্যে আবর্তক ব্যয় ৩ লাখ ১১ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এ আবর্তক ব্যয়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধে যাবে ৫৮ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ শোধে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা।

এছাড়া সম্পদ সংগ্রহ, ভূমি অধিগ্রহণ, নির্মাণ ও পূর্তকাজ, শেয়ার ও ইক্যুইটিতে বিনিয়োগসহ মূলধনী ব্যয় হবে ৩৬ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। ঋণ ও অগ্রিম বাবদ ব্যয় ৪ হাজার ২১০ কোটি টাকা এবং খাদ্য হিসাবে ব্যয় হবে ৫৬৭ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।

আর এডিবিবহির্ভূত বিশেষ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা এবং কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচিতে ব্যয় করা হবে ২ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা। আগামী বছর ঘাটতি বাজেট (অনুদানসহ) হচ্ছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা এবং অনুদানছাড়া ঘাটতির পরিমাণ হচ্ছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা।

ঘাটতি পূরণে অধিকমাত্রায় ঋণনির্ভর হচ্ছে সরকার। সরকার অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে। এর মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকার ঋণ নেবে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ও অন্যান্য ঋণ নেয়া হবে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা।

উল্লেখযোগ্য বরাদ্দের কয়েকটি খাত : ২০২০-২১ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হবে ২৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এছাড়া জনপ্রশাসনে ১ লাখ ৮০ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকারে ৩৯ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা, শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে ৮৫ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা, প্রতিরক্ষা খাতে ৩৪ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা, কৃষি খাতে ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ৩২ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব হবে।

অর্থ বিভাগ মনে করছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় দেশের অর্থনীতিতে এক ধরনের সুফল বয়ে আনতে পারে। কমতে পারে নিত্যপণ্যের দামও। এজন্য আগামী বছরে মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে অর্থমন্ত্রী নতুন বছরে প্রবৃদ্ধিতে আশার আলো দেখানোর চেষ্টা করছেন। ৮ দশমিক ২ শতাংশ ধরেই আগামী অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করা হয়েছে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, করোনার মধ্যেই ঘোষিত হচ্ছে দেশের জাতীয় বাজেট। ফলে প্রতি বছরের চেয়ে এবারের বাজেটে মানুষের প্রত্যাশা ভিন্ন। তবে আয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের চ্যালেঞ্জেও ভিন্নতা রয়েছে। মোটাদাগে এবারের বাজেটে চারটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হল- করোনার কারণে সৃষ্ট হওয়া স্বল্পমেয়াদি সমস্যার সঙ্গে মধ্যমেয়াদি কর্মসূচির সম্পর্ক স্থাপন, বাজেটে অর্থায়ন, সুষম বণ্টন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং বাজেট বাস্তবায়ন।

সরকারকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি, গতানুগতিক কর্মসূচির মধ্যে না থেকে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং সার্বজনীন সামাজিক সুরক্ষার কথা চিন্তা করা উচিত। বাজেট বাস্তবায়নে বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের সংস্কার, স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বাড়ানো, রেন্টাল পাওয়ারে ভর্তুকি বন্ধ করা, বিদেশি সহায়তার ব্যবহার বাড়ানো এবং অর্থ পাচার রোধে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেন শীর্ষস্থানীয় এই অর্থনীতিবিদ।

এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে এবার ‘আয়কর’ নেটের আওতা কমছে। নতুন ৫ লাখ আয়কর দাতাকে কর নেটে যুক্ত করা হবে। চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৪ লাখ ২৩ হাজার জন কম। চলতি সংশোধিত বাজেটে নতুন আয়কর দাতার সংখ্যা নির্ধারণ করা হয় ৯ লাখ ২৩ হাজার। আয়কর দাতাদের সন্ধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রণোদনা ঘোষণা থাকবে।

এছাড়া আয়কর রিটার্নে দেখানো নেই- এমন অপ্রদর্শিত বা কালো টাকায় কেনা জমি-ফ্ল্যাট বৈধ করার সুযোগ থাকছে আগামী বাজেটে। একই সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে। এছাড়া পণ্য আমদানিতে মিথ্যা ঘোষণা রোধে বাড়তি করারোপের বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। মূলত আন্ডার ইনভয়েসিং-ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার রোধে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি বাজেটে তৈরি পোশাক খাতের রফতানিতে উৎসে কর বাড়ানো হচ্ছে। করোনার ধাক্কা মোকাবেলায় এ অপ্রদর্শিত অর্থ অর্থনীতির মূলধারায় আনার বিকল্প নেই। তাই বাজেটে প্রথমবারের মতো অপ্রদর্শিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ (জমি-ফ্ল্যাট) প্রদর্শনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনাকালীন ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের কষ্ট লাঘবে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা রয়েছে। এটি বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হবে। এছাড়া সিগারেট ও মোবাইল ফোনে নতুন কর আরোপ করা হবে।

 

About admin

Check Also

নারায়নগঞ্জ থেকে বি এন পি প্রতিরোধ আন্দোলন শুরু করলাম-ওবায়দুল কাদের।।

ডেস্ক রিপোর্টঃ (কে জামান) নারায়নগঞ্জ ২৩ অক্টোবর ২০২২ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহণ …

জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্ম দিবসের অনুষ্ঠানে -এড.লায়েকুজ্জামান।

অনলাইন ডেস্ক( তালহা): ঢাকা,বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ,,কেন্দ্রীয় কমিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম …

বাংলাদেশ ভ্যাট প্রফেসনালস ফোরামের সাধারন সভা অনুষ্ঠিত।

অনলাইন ডেস্ক(কে জামান)-ঃ ঢাকা,বাংলাদেশ ভ্যাট প্রফেশনাল ফোরাম এর ১৩তম সাধারন সভা ১৯ আগষ্ট ২০২২ শুক্রবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *