যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা ও সংখ্যালঘুদের প্রতি বর্ণবাদী আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিবাদী মানুষেরা রাস্তায় নেমে আসেন।-খবর রয়টার্সের
মিনিয়াপোলিসে আটকের সময় এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা হাঁটু দিয়ে তার ঘাড় চেপে ধরে তাকে হত্যা করে। এরপরেই বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবারে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভটি হয়েছে জার্মানিতে। রয়টার্সের সাংবাদিকরা বলেন, সেখানে ফ্রাংকপুট ও হ্যামবার্গে ১০ হাজারের বেশি মানুষ জড়ো হন। তারা মুষ্টিবদ্ধ হাত উপরে উঠিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান।
বিক্ষোভকারীদের হাতের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘আপনার যন্ত্রণাই আমার যন্ত্রণা, আপনার লড়াই, আমার লড়াই।’
ফ্রাংকফুটের একটি মিছিলের পোস্টারে লেখা ছিল, ‘আর কত হত্যাকাণ্ড ক্যামেরায় ধরা পড়েনি?’ মিনিয়াপোলিসে যখন ফ্লয়েডকে হত্যা করা হয়, তখন সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল।
বড় সমাবেশে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভকারীদের অনেকেরই মুখে ফেইস মাস্ক পরা ছিল।
লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারেও কালো মানুষের অধিকার আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে কয়েক ডজন লোক জড়ো হয়েছিলেন।
তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘শ্বেতাঙ্গদের অবশ্যই আরও বেশি কিছু করতে হবে’, ‘বেলি মুজিঙ্গার জন্য ন্যায়বিচার দাবি করছি’।
করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির সঙ্গে হাতাহাতির পর কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে বেলি মুজিঙ্গা মারা যান।
অস্ট্রেলিয়ায়ও লোকজন মিছিল নিয়ে ক্যানবেরার পার্লামেন্ট ভবনের দিকে এগিয়ে যান।
যদিও করোনার আতঙ্কের দরুন কর্তৃপক্ষ তাদের বাধা দিতে চেষ্টা করেছেন। উপজাতীয়দের প্রতি বাজে আচরণের জন্যও অস্ট্রেলিয়ায়ও ক্ষোভ রয়েছে।