কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী চট্টগ্রামের ট্রাফিকের এক পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক ও ঈদ উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। বুধবার বিকালে আইজিপি’র পক্ষে কনস্টেবল নইমুল হক’র শ্বশুর বাড়ি দেবিদ্বার পৌরসভার থানার গেইট সংলগ্ন প্রফেসর পাড়ার বাসায় শ্বশুর মো. সুলতান আহম্মেদের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক, আইজিপি ঈদ উপহার সামগ্রী হস্তান্তর করেন কুমিল্লা জেলার পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (বর্তমানে কুমিল্লা উত্তরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত) মো. শাখাওয়াত হোসেন।
নইমুল হক এর শ্বশুর সুলতান আহম্মেদ জানান, কর্তব্যরত অবস্থায় গত ১৪ মে চট্টগ্রামে ট্রাফিকে কর্মরত অবস্থায় মো. নইমুল হক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) দামপাড়া পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে ওইদিনই তাকে নগরীর আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৫ মে সকাল সাড়ে ১১ টায় তিনি মারা যান। কনস্টেবল নইমুল হক দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের মৃত আবদুল ওয়াদুদ মাস্টারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ছাড়াও দুই মেয়ে ও দুই বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
কুমিল্লা উত্তরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, মাননীয় আইজিপি মহোদয়’র পক্ষ থেকে কর্তব্যরত অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া চট্টগ্রামে ট্রাফিকের কনস্টেবল নইমুল হক’র শ্বশুর মো. সুলতান আহম্মেদের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক ও ঈদ উপহার সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়েছে। নইমুল হক স্ত্রী বিউটি আক্তার লকডাউনের কারণে চট্টগ্রাম থাকায় তার স্ত্রী’র পক্ষে তার শ্বশুরকে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক ও ঈদ উপহার বুঝিয়ে দেওয়া হয়। প্রিয়জন হারানো পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এসব উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। চেক ছাড়াও উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে খাদ্যদ্রব্য এবং ঈদের পোশাক । তিনি আরও বলেন, আইজিপি মহোদয়ের পক্ষ থেকে চলমান করোনা যুদ্ধে দায়িত্বরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী পুলিশ সদস্যের প্রত্যেকের পরিবারকে ঈদ উপহার সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণ করতে প্রতি বছরের পহেলা মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ পালন করা হয়।