এম কে জামানঃ ১১এপ্রিল ২০২১.(ঢাকা)
দেশের হজযাত্রীদের বড় একটি দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারকে সামলাতে হলেও এ নিয়ে এখনও কোনও আইন নেই। আছে শুধু কিছু নীতিমালা। এবার তাই হজ ব্যবস্থাপনাকে আইনি কাঠামোতে আনতে যাচ্ছে সরকার। গত ৪ এপ্রিল ২০২১ রবিবার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিল-২০২১ সংসদে তুলেছেন।
বিলটি ৪০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়েছে, হাজী ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার এ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি গঠন করবে এবং হজ ও ওমরাহ এজেন্সিকে শর্ত মেনে নিবন্ধন নিতে হবে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, হজের চুক্তি দেশে হওয়ার পর কেউ সৌদি আরবে গিয়ে প্রতারণা করলে, ওই অপরাধ বাংলাদেশে হয়েছে গণ্য করে এই আইনে তার বিচার করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, নিবন্ধন পেতে হজ এজেন্সিকে তিন বছর এবং ওমরাহ এজেন্সিকে দুই বছরের ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, হজ এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। ওমরাহ এজেন্সি অনিয়ম করলে নিবন্ধন হারানোর সঙ্গে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়বে। এ ছাড়া জামানত বাজেয়াপ্ত, নিবন্ধন স্থগিত, সতর্কীকরণ ও তিরষ্কারের শাস্তিও রয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, কোনও এজেন্সি পরপর দু’বার তিরস্কৃত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার নিবন্ধন দুই বছরের জন্য স্থগিত হবে। কোনও এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল হলে সেটার অংশীদার বা স্বত্বাধিকারীরা পুনরায় আর নিবন্ধন পাবেন না। অন্য কোনও এজেন্সির কাজেও সম্পৃক্ত হতে পারবেন না।
হজ এজেন্সিগুলো স্বত্ব পরিবর্তন করতে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে বলে প্রস্তাব্তি আইনে বলা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনও সংবিধিবদ্ধ আইন নেই। নির্বাহী আদেশ, নীতিমালা, পরিপত্র ইত্যাদি দিয়ে এর কার্যক্রম চলছে। এ বিষয়ে সংবিধিবদ্ধ আইনের প্রয়োজনীয়তা টের পাওয়া যাচ্ছিল অনেকদিন ধরে।