১০ম ওভারে দুই উইকেট পড়ল টানা দুই বলে। কিছুটা চাপে পড়াই স্বাভাবিক। ওই ওভার শেষে জয়ের সুযোগও হয়ে পড়ল ‘ফিফটি-ফিফটি’। ৬০ বলে দরকার ১০২ রান। উইকেটে সাকিব আল হাসান ও আন্দ্রে রাসেল। এই অবস্থায় ঢাকা ডায়নামাইটসের যেমন জয়ের সুযোগ ছিল তেমনি চিটাগং ভাইকিংসও প্রতিপক্ষকে আরও চেপে ধরে জয় তুলে নিয়ে শেষ চারে উঠতে পারত। কিন্তু ক্যামেরন ডেলপোর্টের জন্য সেটি হওয়া না হওয়ার সমীকরণে দুলে শেষ পর্যন্ত স্নায়ুক্ষয়ী এই ম্যাচে চিটাগংই জিতেছে!
শেষ ১০ ওভারে শতাধিক রানের সমীকরণকে ৩৯ বলে ৬৮ রানের সমীকরণে নামিয়ে এনেছিলেন সাকিব-রাসেল জুটি। ম্যাচের তখন ১৪তম ওভার চলছে। চতুর্থ বলে লেগ সাইডে হাঁকিয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন রাসেল। ঢাকা সমর্থকদের সে কী উল্লাস! সবচেয়ে বড় বিপদকে তো উপড়ে ফেলা গেছে। ভুলটা ধরিয়ে দিলেন টিভি আম্পায়ার। নো বল! মানে, ডেলপোর্টের পা দাগের ওপাশে। রাসেল ‘জীবন’ পাওয়ার পর ম্যাচে ভর করেছে আরও কয়েক প্রস্থ নাটকীয়তা। চিটাগংয়ের বোলাররা শেষ পর্যন্ত স্নায়ু ধরে রেখে ম্যাচটা বের করে এনেছেন। স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেটে ১৭৪ রান তোলার পর ১১ রানের এই জয়ে বিপিএলের শেষ চারও নিশ্চিত করল মুশফিকুর রহিমের দল।