১৬ জুন, ২০২০ SS Apolo
লাদখের হিমালয় অঞ্চলে চীনা সেনাদের সাথে ‘মুখোমুখি’ সংঘর্ষে একজন কমান্ডিং অফিসারসহ তিন ভারতীয় সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন।
সোমবার রাতের এই ঘটনাটি কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং এই অঞ্চলে উভয় পক্ষ থেকে কয়েক হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের পরিপ্রেক্ষিতেই ঘটেছে। ভারতের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গ্যালওয়ান উপত্যকায় চলমান ডি-এস্কেলেশন প্রক্রিয়া চলাকালীন গতকাল রাতে একটি সহিংস সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভারতীয় পক্ষের একজন কর্মকর্তা ও দু’জন সৈন্য নিহত হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পরিস্থিতি হ্রাস করার জন্য দু’পক্ষের সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তারা বর্তমানে সেখানে বৈঠক করছেন।’
১৯৭৫ সালের পর এই প্রথম এশীয় দুই পরাশক্তির মধ্যে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনা ঘটল। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত করতে উভয় পক্ষের উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন।
এদিকে, সংবাদ সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দু’দেশের ‘বিতর্কিত সীমানা’ অতিক্রম করার জন্য ভারতকে অভিযুক্ত করেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, ‘সোমবার দু’বার ভারতীয় সেনারা সীমানা পেরিয়ে চীনে ঢুকে পড়েছিল। তারা চীনা সৈন্যদের উস্কানি দেয়াতেই উভয় পক্ষের মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আবারও আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি যে, কূটনৈতিক মনোভাব অনুসরণ করে ভারত তার সৈন্য বাহিনীকে সংযত রাখুক।’ তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্ত অতিক্রম করবেন না, ঝামেলা করবেন না এবং এমন কোন একতরফা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন না যা সীমান্ত পরিস্থিতি জটিল করে তুলবে।’ লিজিয়ান জানান, বেইজিং দিল্লির কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে।
তবে চীন কোন হতাহতের কথা উল্লেখ করেনি। কিন্তু, ভারত দাবি করেছে যে ‘উভয় পক্ষেই’ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। গত সপ্তাহে চীন বলেছিল যে, কূটনৈতিক ও সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে সীমান্ত উত্তেজনা সমাধানের বিষয়ে ভারতের সাথে তারা ‘ইতিবাচক ঐক্যমতে’ পৌঁছেছে। সূত্র: আল-জাজিরা