নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কার্যকর করা লকডাউন উঠে গেছে বেশ কিছু দেশে। অনেক দেশে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। আরও কিছু দেশ লকডাউন তুলে নেবার পথে। এর মধ্যে লকডাউন তুলে নেয়ার আগে ৬ পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনলাইন ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুসের দেয়া পরামর্শগুলো হলো:
বিদেশফেরত ব্যক্তিদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি মোকাবিলার প্রস্তুতি থাকতে হবে।
নজরদারি জোরদার করতে হবে এবং রোগীর সংখ্যা কমা ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতে হবে।
প্রত্যেক আক্রান্ত ব্যক্তি চিহ্নিত, তাদের পৃথক্করণ, পরীক্ষা ও চিকিৎসা করা এবং রোগীর সংস্পর্শে আসা সব ব্যক্তিকে শনাক্ত করার সক্ষমতা স্বাস্থ্যব্যবস্থার থাকতে হবে।
স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও নার্সিং হোমের মতো বিশেষ ব্যবস্থাগুলোতে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি কমে আসতে হবে।
কর্মস্থল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ যেসব জায়গায় মানুষকে যাতায়াত করতে হয়, সেসব স্থানে সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে।
নতুন স্বাভাবিকতায় সমাজের সবাইকে সজাগ ও যুক্ত করতে হবে এবং এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের ক্ষমতায়ন করতে হবে।
লকডাউন তুলে নেওয়ার আগে এই ছয় বিষয়ের ওপর নজর দিতে দেশগুলোকে সতর্ক করেন তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, দেশগুলো যদি অন্তর্বর্তী এই সময়ে খুব যত্নবান না হয় এবং ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ শিথিল না করে, তাহলে মহামারি আবারও ছড়িয়ে পড়তে পারে, এতে আবারও লকডাউনের দিকে যেতে হতে পারে।
সর্বশেষ তথ্য, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার ছুঁই ছুঁই। আর আক্রান্ত ৩৮ লাখ ৭৫ হাজার। এপ্রিলের শুরু থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার মানুষ বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।