দেশের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার প্রয়াত মোনেম মুন্নার জার্সি নিলামে উঠছে আগামী শনিবার।রাত ১০টায় নিলামটি আয়োজন করতে যাচ্ছে অকশন ফর অ্যাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান, যারা ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানের ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলা ব্যাটটি নিলামের আয়োজন করেছিল। তবে মুন্নার স্ত্রী সুরভী মোনেম জানিয়েছেন, ১৯৯৫ সালে মিয়ানমারে চারজাতি আসর জয়ী দলের অধিনায়ক মুন্নার জার্সিটা নয়, তারা নিলামে তুলতে যাচ্ছেন ১৯৮৯ সালে সিউলে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপে যে জার্সিটি পরে খেলেছিলেন মুন্না, সেই জার্সিটি। একই দিন দেশের অন্যতম সেরা রেফারি তৈয়ব হাসানের ২০১৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল পরিচালনার সময় পরা জার্সিটিও নিলাম করবে একই প্রতিষ্ঠান।
প্রথমে চারজাতি আসরের জার্সিটি নিলামে তোলার কথা বললেও সেটি খুঁজে পান
নি মুন্নার স্ত্রী সুরভী। তাই ১৯৮৯ সালে প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপের জার্সিটি নিলামের সিদ্ধান্ত নেন তিনি, ‘আসলে প্রথমে আমরা এই জার্সিটিকে ভেবেছিলাম ১৯৯৫ সালে চারজাতি আসরের জার্সি। কিন্তু পরে জানতে পারি এটা প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপের। নিলামকারী প্রতিষ্ঠানও এটাকেই পছন্দ করায় আমরা এটাকে নিলামে তুলছি। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় আশা করছি ভালো দামেই জার্সিটি বিক্রি হবে। বিক্রয়লব্ধ অর্থ ব্যয় করা হবে করোনাদুর্গতদের মাঝে।’
মুন্নার সেই জার্সির পাশাপাশি শনিবার নিলামে উঠছে আরেক স্মরণীয় জার্সি। ২০১৩ সালে
কাঠমান্ডু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলেছে ভারত ও আফগানিস্তান। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় ১১ সেপ্টেম্বরের সেই ফাইনালে বাংলাদেশও মাঠে ছিল। সেই ম্যাচটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশের রেফারি তৈয়ব হাসান। সাত বছর পর সেই ফাইনালের পরিহিত জার্সিটি নিলামে তুলছেন করোনাদুর্গতদের সাহায্যার্থে। আসলে এই জার্সিটির মাহাত্ম্য বেড়ে গেছে অন্য কারণে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম রেফারি হিসেবে সাফের কোনো আসরের ফাইনাল পরিচালনার ইতিহাস গড়েন তৈয়ব। সাবেক এই রেফারির বিশ্বাস, নিলাম থেকে ভালো অঙ্কের অর্থ পাবেন, যা তিনি বিপদগ্রস্ত মানুষের সেবায় দান করতে পারবেন। তার এই বিশ্বাসটা তৈরি হয়েছে নিলামের আগেই জার্সিটি নিয়ে অনেকের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায়। তৈয়ব জানিয়েছেন, সাতক্ষীরার দুজন ব্যবসায়ী নাছিম ফারুক এবং শেখ তানজিম এই জার্সি কিনতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। একজন তো সাড়ে ৫ লাখ টাকার ওপর দিতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু জার্সির নতুন মালিকানার নিষ্পত্তি আসছে শনিবার নিলামের মাধ্যমেই হবে।