thu.28 May ss apolo
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, গত সপ্তাহে পশ্চিম রাখাইনের লেট কার গ্রামে ২০০ বাড়ি ও ভবন ধ্বংস করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। নানা সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠির ওপর এই নৃশংস হামলা চালিয়েছে সেনারা। -আল জাজিরা, ওয়াশিংটন পোস্ট, ভয়েস অব আমেরিকা
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক নির্বাহী পিল রবার্টসন বলেন, লেট কার গ্রাম পোড়ানো সাম্প্রতিক বছরগুলোতো মিয়ানমারের সেনাকর্তৃক রোহিঙ্গা গ্রাম পোড়ানোরই একটি হলমার্ক। এই গ্রামে কি হয়েছে, যারা গ্রামবাসীদের ক্ষতি করেছে ও যারা এই ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী, তাদের বিচার করতে জরুরি ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন বলে দাবি সংস্থাটির।
গত মাসে সেনাবাহিনীর বন্দি নির্যাতনের এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে মিয়ানমার সেনাবাহিনী স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে , তারা সংখ্যালঘু রাখাইন বন্দিদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে ।
লেট কার গ্রামের এক সাবেক বাসিন্দা বলেন , গত ১৭ মে তার নিজের বাড়ি সহ ১৯৪টি ভবন পুড়িয়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে একটি স্কুল। রাখাইনের পার্লামেন্ট সদস্য তুন থার সেইন বলেছেন , সেনাবাহিনী এখানে অভিযান চালিয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় সরকাকে গ্রামবাসীদের জন্য ত্রাণ সহায়তা দিতে বলেছি ।
এদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে , এই অঞ্চলে আরাকান আর্মি হামলা করার পরই সেনাবাহিনী এখানে প্রবেশ করে। তারা দাবী করে আরাকান বিদ্রোহিরা ২০টি বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তবে ১৯ মে এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আরাকান আর্মির মুখপাত্র কেইনি থুকা গণমাধ্যমকে এই হামলার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন । মিয়ানমার সেনাবাহিনী আরাকান আর্মিকে ‘ সন্ত্রাসী ’ দল আখ্যা দিচ্ছে । তবে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কোনো বেসামরিক নাগরিক , বস্তু , বাড়ি ও গ্রামের ওপর হামলা যুদ্ধাপরাধ বলে গণ্য হবে ।
জাতিসংঘের উচ্চ আদালত বলেছে , মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে। ২০১৬ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা , ধর্ষণ , নির্র্যাতন , জ্বালাও – পোড়াওয়ের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। এর আগে বিভিন্ন সময় সাড়ে তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ।