২২ জুন ২০২০ sayem siraj
কুয়েতে মানব পাচার ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে নিয়ে নতুন নতুন রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম আরব টাইমস।
কুয়েতের ওই সংবাদ মাধ্যমের রোববারের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মানব পাচার, ভিসা নবায়ন আর অবৈধ মুদ্রা পাচারের মামলায় আটক বাংলাদেশের নাগরিকের নতুন নতুন রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে। তদন্ত কর্মকর্তারা ওই মামলায় কুয়েতের অন্তত সাতজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন কুয়েত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিভাগের প্রধান। এছাড়াও সাবেক কর্মকর্তাদেরও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
কুয়েতের তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কুয়েতের কর্মকর্তারা সেখানকার সরকারি দরপত্র কমিটি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তারা বাংলাদেশের নাগরিকের সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ঘুষ ও উপহার নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছেন।
এদিকে বাংলাদেশের এমপিকে আটকের খবর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার না করলেও শনিবার কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী আনাস আল সালেহ বলেছেন, দেশে সবচেয়ে বড় মানব পাচার চক্রের হোতা এশিয়ার একটি দেশের নাগরিককে আটক করা হয়েছে। মানব পাচারের অভিযোগের তদন্তে সরকারি কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি যে–ই হোক না কেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। কাউকে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। উপপ্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি কুয়েতের মন্ত্রিপরিষদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন আনাস আল সালেহ।
সাংসদকে আটক করার ব্যাপারে কুয়েত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার এমন কথা বলা হয়েছে। ঠিক এমন সময়ে কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী নাম উল্লেখ না করে মানব পাচারের সঙ্গে এশিয়ার দেশের নাগরিক জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন।
এদিকে কুয়েতে মানব পাচার ও অবৈধ মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক বাংলাদেশের সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে সহযোগিতাকারী সাতজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মদত জুগিয়েছেন। ফলে কুয়েতের ওই সব নাগরিকের নাম প্রকাশের দাবি জোরালো হচ্ছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে।