৩০ মে ২০২০, SS Apolo
লিবিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের পরিবারের সদস্যদের হাতে নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৩ জনের পরিচয় প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
নিহতের বেশিরভাগেরেই গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলায়।
শুক্রবার (২৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তালিকায় দেখা গেছে, ২৩ জনের মধ্যে ১১ জনের বাড়িই মাদারীপুর জেলায়। এর মধ্যে ভৈরব উপজেলার ৫জনসহ সাতজনের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। বাকিদের বাড়ি যশোর, ঢাকা, মাগুরা, গোপালগঞ্জ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিজদাহে (ত্রিপলি হতে ১৮০ কি.মি. দক্ষিণে) বর্বোরোচিত হামলায় আহতদের সঙ্গে কথা বলে প্রাপ্ত তথ্য থেকে নিহত সম্ভাব্য বাংলাদেশিদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
আহতরা জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে মোট ৩৮ জন বাংলাদেশি জিম্মি ছিলেন। সেখান থেকে তারা নিহত ২৩ জনের পরিচয় জানতে পেরেছেন। বাকি তিনজনের বিষয়ে দূতাবাসের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
যাদের পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বিদ্যানন্দীর জুয়েল, মানিক, একই জেলার টেকেরহাটের আসাদুল, আয়নাল মোল্লা, মাদারীপুরের জাকির হোসেন, জুয়েল-২, টেকেরহাটের মনির, রাজৈরের ইশবপুরের মনির, সজীব, মাদারীপুরের ফিরোজ, মাদারীপুরে দুধখালীর শামীম, ঢাকার আরফান, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের রহিম, ভৈরবের রাজন, শাকিল, ভৈরবের শ্রীনগরের সাকিব মিয়া, ভৈরবের রসুলপুরের আকাশ, ভৈরবের সোহাগ, মো. আলী, গোপালগঞ্জের সুজর, কামরুল, যশোরের রাকিবুল, মাগুরার মোহাম্মদপুরের বিনোদপুর নারায়নপুরের লাল চান্দ।
বৃহস্পতিবার লিবিয়া সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, লিবিয়ার মিজদাহ শহরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে নিহত ৩০ জনের মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশি। আর ৪ জন আফ্রিকার। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। লিবিয়ার নিহত এক মানবপাচারকারীর পরিবারের সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।