১৬ জুলাই ২০২০ ,আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
চীন ও ইরান তাদের মধ্যে ২৫ বছরের একটি ‘কৌশলগত সহযোগিতার’ চুক্তি নিয়ে বোঝাপড়া চূড়ান্ত করে ফেলেছে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রক্তচক্ষু তোয়াক্কা না করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ জানিয়েছেন, ইরানের মন্ত্রিসভা চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদন করেছে। বাকি রয়েছে দুই দেশের পার্লামেন্টের অনুমোদন এবং দুই প্রেসিডেন্টের সই। খবর বিবিসির।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন ও ইরানের এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্য তথা এশিয়ার বিরাট একটি অংশের ভূরাজনৈতিক চালচিত্র বদলে দেবে।
চীন ও ইরানের সরকার এখনও এই চুক্তির বিস্তারিত কিছু ভেঙে বলছে না। তবে নিউইয়র্ক টাইমস ও হংকংভিত্তিক এশিয়া টাইমসসহ বেশ কিছু শীর্ষ সারির মিডিয়া বলছে, তারা ১৮-পাতার খসড়া চুক্তিটি দেখেছে।
বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশিত নানা তথ্যের ভিত্তিতে যা জানা গেছে, ইরানের তেল-গ্যাস, ব্যাংকিং, টেলিকম, বন্দর উন্নয়ন, রেলওয়ে উন্নয়ন এবং আরও কয়েক ডজন খানেক গুরুত্বপূর্ণ খাতে চীন ব্যাপক বিনিয়োগ করবে।
এই বিনিয়োগের পরিমাণ আগামী ২৫ বছরে কমপক্ষে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ হতে পারে।
সেই সঙ্গে প্রস্তাবিত চুক্তিতে সামরিক ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ‘যৌথ প্রশিক্ষণ, মহড়া, গবেষণা, যুদ্ধাস্ত্র তৈরি এবং গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের’ কথা রয়েছে।
মিডলইস্ট আই নিউজ ওয়েবসাইটের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তির আওতায় চীন তাদের বিনিয়োগের সুরক্ষায় ইরানে পাঁচ হাজার পর্যন্ত সৈন্য মোতায়েন করতে পারবে।
সুতরাং, এ চুক্তি সই হলে মধ্যপ্রাচ্যে এই প্রথম সরাসরি চীনা সামরিক উপস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বিনিয়োগের বদলে জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে চীনকে অনেক ছাড় দেবে ইরান। বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কমমূল্যে তেল-গ্যাস পাবে চীন এবং চীনা মুদ্রায় সেই দাম পরিশোধ করতে পারবে।
মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া চুক্তির এসব শর্ত নিয়ে ইরান বা চীন সরকারের পক্ষ থেকে খোলাসা করে কিছু বলা হয়নি।
তবে সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, চীনের সঙ্গে প্রস্তাবিত এই চুক্তি ইরানের কূটনীতির জন্য গর্ব করার মতো একটি অধ্যায়।