০৪ জুন ২০২০ SS Apolo
যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ অ্যাথলেট জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় দেশটিতে সামাজিক বিপ্লবের উত্থান ঘটেছে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর মার্কিনমুলুকে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
পুলিশি অত্যাচার ও কালো বর্ণের মানুষের প্রতি সাদা চামড়ার লোকজনের বর্ণবৈষম্যের কারণে জনরোষ সৃষ্টি হয়েছে। সেই রেশ আছড়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে। রাজনীতি-বিনোদন ক্ষেত্র ছাড়িয়ে তা নাড়া দিয়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। ইতিমধ্যে ফুটবল, টেনিসে বর্ণবাদের অভিযোগ উঠেছে।
এর করাল গ্রাস থেকে মুক্ত নয় ক্রিকেটও। কালো গোত্রের ক্রিকেটাররা প্রায়শই এর শিকার হন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলও এ কথা বলেছেন। এবার ভারতের ক্রিকেটেও বর্ণবিরোধী অভিযোগ উঠল।
বিশ্বজুড়ে জাতিবিদ্বেষী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বিস্ফোরণ ঘটালেন দেশটির জাতীয় দলের ক্রিকেটার অভিনব মুকুন্দ। তার অভিযোগ, গায়ের রঙ কালো হওয়ায় তাকে প্রাপ্য সম্মান দেয়া হয় না। এমনকি ক্রিকেট মাঠে একাধিকবার হেনস্থার মুখে পড়েছেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুকুন্দ লেখেন, সেই ১০ বছর বয়স থেকে আমি ক্রিকেট খেলছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছি। আপ্রাণ নিজের কাজটা করে যাই। তবে ১৫ বছর বয়সে বুঝতে পারি আমি কালো হওয়ায় লোকে আমাকে আলাদাভাবে দেখে।
তিনি বলেন, এ পোস্টের মাধ্যমে নতুন করে নিজেকে নিয়ে বলছি না। শুধু এটি যদি সমাজকে ধাক্কা দিয়ে কিছু মানুষের মানসিকতায় বদল আনতে পারে সেটাই চাইব।
একই ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতের সাবেক পেসার দোদ্দা গণেশ। ’৯০ দশকে মাঠ মাতানো এ ক্রিকেটারও বর্ণবৈষম্য নিয়ে অভিযোগ এনেছেন। তার দাবি, ওই সময় কালো বর্ণের জন্য অনেকে তাকে একাধিক বিশ্রী নামে ডাকত। কুৎসিত হওয়ায় সতীর্থদের কাছেও হেনস্থা হয়েছেন।
মুকুন্দের রেশ ধরে টুইটারে বর্ণবৈষম্য নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন গণেশ। পোস্টে তিনি লেখেন, মুকুন্দের গল্প শোনার পর আমার নিজের বর্ণবিদ্বেষের শিকার হওয়ার কথা মনে পড়ে গেল। আমি যদিও এ সব নিয়ে কোনোদিন ভাবি না। বিদ্বেষমূলক মন্তব্যগুলো উল্টো আমাকে আরও শক্ত করেছে। সেই সময় প্রতিবাদ করার কোনো জায়গাও ছিল না। আগামী দিনে কোনো ভারতীয়কে ক্রিকেট মাঠে এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না বলে আশা করছি।