স্টাফ রিপোর্টারঃ
হয়ে যাওয়া গত ইউপি নির্বাচনে ধামগড় ইউনিয়নে নৌকার পরাজয়ে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার অন্যতম একজন এই শরিফ হোসেন বর্তমান সতন্ত্র চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের বন্ধু।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পার্থী মাসুম আহমেদ নৌকার প্রতিক পেলেও শরিফ ছিলেন অপর নৌকা প্রত্যাশী বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের বড় ভাই আজিজুল হক আজিজের সমর্থক সেসময় শরিফ হোসেন বাদেও বেশ কয়েকজন আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপরে নৌকা সমর্থন দিলেও মূলত মাসুম বিরুধী হওয়ায় তারা সতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করে যার মধ্যে ৫ নং ওয়ার্ডের শরিফ হোসেন ছিলেন অনেকটা প্রকাশ্যে।
নারায়ণগঞ্জ, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পদ প্রত্যাশী শরিফ হোসেনের বাবা ছিলেন ধামগড় ইউনিয়নের ততকালীন বিএনপির সক্রিয় নেতাদের মধ্যে একজন অন্যতম।
বর্তমানে বি,এস,আর,এম নামের একটি স্টিল কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অল্প দিনেই কোটি টাকার মালিক বনে যান যার ধারাবাহিকতায় আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতার সাথে সক্ষতা গড়ে ওঠে ও আওয়ামীলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নিতে থাকেন এবং দল করতে থাকেন নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের জন্য।
মূলত ব্যাবসা টিকিয়ে রাখতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি সব দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ম্যানেজ করেই চলেন তিনি। শুধুমাত্র টাকার বলে টিকে থাকা এসব নেতারা যদি আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেন তাহলে সামনে আওয়ামীলীগের কঠিন সময়ে তারা অন্যদের সাথে আতাত করে চলতে দলের সাথে আবারো বেঈমানী করতে পারেন বলে মনে করেন সচেতন মহল।
ইউপি নির্বাচনের পরে তার নিয়ন্ত্রিত কোম্পানিতে এক বিএনপি নেতার ব্যাবসায়ীক সুযোগ করে দিয়ে দুই দিক ঠিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় অবহেলিত অনেক প্রবীণ নেতা তাদের মতে শরিফ হোসেন রাজনীতি করেন ব্যাবসায়ীদের মতো যেখানে যা প্রয়োজন তা-ই দিয়ে। টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেন। মূলত দলের প্রতি ততটুকু ত্যাগী মনোভাব তার নেই যতটুকু হলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে দলের কাজে আসবে বলে মনে করেন প্রবীণ আওয়ামী লীগরা।
নাম বলতে অনিচ্ছুক ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা বলেন ধামগড় ইউনিয়নে বর্তমানে ত্যাগী নেতারা অবমূল্যায়ন হচ্ছে হাইব্রিড নেতারাই সুবিধা ভোগ করছেন।এতে করে দলের যেমন ভীত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমন ইউনিয়ন নেতাদের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে কোন্দল।