জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছরে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করা হয়েছে। বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগো সংবলিত ব্যাজ (কোটপিন) সরকারি দলের কারও বুকে দেখা যায়নি। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বুকেও ছিল না ব্যাজটি। ব্যাজ ছিল না স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীরও।
সরকারি দলের ট্রেজারি বেঞ্চে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল, বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ তিনজন সাংসদকে বসতে দেখা যায়, যাদের কারও বুকে দেখা যায়নি। ব্যাজ ছিল না সরকারি দলের চিফ হুইফ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন ও হুইপ আতিকুল ইসলাম আতিকের। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকসহ গুরুত্বপূর্ণ কোনো মন্ত্রীর বুকেই ব্যাজ দেখা যায়নি। অধিবেশনে উপস্থিত অন্য সংসদ সদস্যদের বুকেও ছিল না ব্যাজটি।
এ ব্যাজ বুকে ধারণ করার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বছরের এ বাজেট উপস্থাপনে উপস্থিত সবার বুকে থাকলে বিষয়টা অন্যরকম মাত্রা পেত বলে মনে করছেন অনেকে। তারা বলছেন, বিষয়টি খেয়ালে রেখে সবার বুকে ব্যাজ ধারণ করা উচিত ছিল, তাতে বাজেট অধিবেশনে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের এক ধরনের আমেজও পাওয়া যেত। এ প্রসঙ্গে কথা হয়েছে কয়েকজন সংসদ সদস্যের সঙ্গে। দেশ রূপান্তরকে তাদের একজন বলেন, ‘লোগো সংবলিত কোটপিন সংসদ সচিবালয় থেকে আমাদের সরবরাহ করা উচিত ছিল। সংসদ থেকে তা করা হয়নি; উদযাপন কমিটিও সরবরাহ করতে পারত। কিন্তু কেউই সরবরাহ করেনি। আবার আমাদেরও অনেকের মনে ছিল না। তাই কোটপিনটা লাগানো হয়নি।’ এটা তাদের ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ বলে জানান তারা।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বছর হিসেবে এ বছর বিভিন্ন গণমাধ্যমে লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে। সড়ক, মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি ভবনে এই লোগো প্রদর্শন করা আছে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতানেত্রীদেরই এই লোগো কম ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। যেখানে জন্মশতবার্ষিকীর বছর শুরুর দিন থেকে এ পর্যন্ত এই ব্যাজ ধারণ করা এক দিনও বাদ দেননি বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর এ বছর ঘটা করে উদযাপনের কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে কোনো কর্মসূচিই সেভাবে করা হচ্ছে না।