৯ জুলাই ২০২০ , আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
নানাবিধ আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফের তদন্তের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে গান্ধী পরিবার।
গান্ধী পরিবারের সঙ্গে জড়িত তিনটি ট্রাস্টের বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্ত করা হবে বলে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
যে তিনটি ট্রাস্টের বিরুদ্ধে তদন্তের কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন, রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। খবর ডয়চে ভেলের।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, এই ট্রাস্টগুলো আইন ভেঙে বিদেশ থেকে টাকা নিয়েছে। আয়কর দেয়ার ক্ষেত্রেও গরমিল করেছে। এমনকী, টাকা নয়-ছয় বা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগও রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এনফোর্সমেন্ট ডিরোক্টোরেটের একজন স্পেশাল অফিসার তদন্ত করবে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা আরও বড় অভিযোগ করেছেন। তার বক্তব্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ড থেকেও এই সংস্থাগুলোকে টাকা পাইয়ে দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, ১৯৯১ সালে মনমোহন সিংহ যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তখন বাৎসরিক বাজেটেও রাজীব গান্ধী ট্রাস্টের নামে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন, যা বেআইনি। তার আগে বিজেপির অভিযোগ ছিল, চীনের কাছ থেকে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন ৯০ লাখ টাকা পেয়েছে।
শুরু থেকেই কংগ্রেস এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। আর তদন্তের সিদ্ধান্তের পর রাহুল গান্ধী পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার ভয় পেয়ে যাকে খুশি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আনছে।
কংগ্রেস মনে করে, এসব তদন্তের নামে লাদাখে ভারত-চীন সীমান্ত বিতর্ক থেকে বিজেপি মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে।