আগামী মাসেই নতুন অতিথি আসছে জো রুটের ঘরে। এমন সময়ে স্ত্রীর পাশে থাকতে হবে ইংল্যান্ড অধিনায়ককে। তাই উইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টেস্ট সিরিজের এক বা একাধিক ম্যাচ মিস হতে পারে। সিরিজের প্রথম টেস্টে রুটের না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। তেমন হলে তার পরিবর্তে নেতৃত্বের দায়িত্ব উঠবে বেন স্টোকসের কাঁধে। ইংলিশ সহ-অধিনায়ক এই সুযোগে প্রথমবার টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেবেন। এ নিয়ে মোটেও নার্ভাস নন স্টোকস। ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী নায়ক জানান, রুটের অভাব পূরণে পুরোপুরি প্রস্তুত তিনি।
সহ-অধিনায়ক হিসেবে স্টোকসকে এমনিতেই নেতৃত্বের ভারটা নিতে হয়। তবে রুট থাকেন বলে সব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না তাকে। কিন্তু এবার সেই কাজটিই করতে হচ্ছে। এতে বিন্দুমাত্র সমস্যা নেই স্টোকসের। উল্টো নিজেকে ১৯৯০’র দশকের গ্রেট বাস্কেটবল দল শিকাগো বুলসের পিপেনের সঙ্গে তুলনা করলেন স্টোকস। ওই দলে খেলতেন বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডান। দলকে নেতৃত্ব দিতেন তিনি। তবে প্রয়োজনে জর্ডানের সতীর্থ পিপেনকে নেতৃত্ব দিতে হতো। অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে ভালো করতেন পিপেন। সেই সফলতাটাই পেতে চান স্টোকস। ‘রুটের এই গ্রীষ্মে একটি টেস্ট মিস করার সম্ভাবনা আছে। সে দ্বিতীয়বার বাবা হওয়ার পথে। কিন্তু আমি রুটের পিপেন। এই সময়ে আমাকে এগিয়ে আসতে না বলার কোনো কারণ নেই। এটা রুটের দল। যদিও সে মাঠে থাকবে না আর আমি তার অনুপস্থিতিতে এক-একটা সিদ্ধান্ত নেব কিন্তু আসল বিষয় হলো আমি রুটের দলকে সেভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাব যেভাবে সে দলকে টেনে নিত।’ অনেকদিন পর মাঠে ফিরছেন স্টোকসরা। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে করোনাভাইরাসের জন্য থামতে হয়েছিল তাদের। এরপর এই আবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফেরা। এই সময়ে নিজেকে মাঠে ফেরার জন্য মানসিক ভাবে তৈরি রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল স্টোকসদের জন্য। ইংলিশ অলরাউন্ডার জানান, ‘লকডাউনে পরিবারের সঙ্গে সময়টা খুব ভালো যাচ্ছিল। সময়টা আমি ভালোবেসে ফেলেছি। কিন্তু একইসঙ্গে নিজেকে মাঠে ফেরার জন্য প্রস্তুত রাখা কঠিন ছিল। কারণ অনুশীলন নেই, খেলা কবে হবে জানা নেই এসবের মধ্যে মানসিক ভাবে ফিট থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। এই ১৩ সপ্তাহে এমন অনেক সময় গেছে যে আমি কিছ্টু করিনি। মনে হতো কী লাভ, জানি তো না কবে ফিরব। আবার কোনোদিন খুব পরিশ্রম করে জিম করেছি। এমন উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে পার করতে হয়েছে। তবে সুখবর হলো সব কাটিয়ে আমরা আবার মাঠে ফিরেছি।’