০৪ জুন ২০২০ SS Apolo
সীমান্তে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে পূর্ব লাদাখে চীনা সৈন্যদের একটা বিরাট বাহিনীর ঢুকে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এটাই প্রথম ভারতীয় ভূখণ্ডে যা চীনা সেনারা দখল করেছে। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম সিএনএন-নিউজ ১৮ কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন স্বীকারোক্তি দেন তিনি।
তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দিল্লি যাবতীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন রাজনাথ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, চীন ওই এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে এটি ভারতীয় ভূখণ্ড।
আগামী ৬ জুন চীন ও ভারতীয় বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে মিলিত হবেন। তবে নিজেদের অবস্থান থেকে কোনোভাবেই পিছু হটবে না নয়াদিল্লি।
রাজনাথ বলেন, ‘বেশকিছু চীনা নাগরিক ওই এলাকায় ঢুকে পড়েছে। ভারতের যা করা উচিত ছিল, তা-ই করেছে।’
সমস্যা সমাধানের জন্য চীনকে পরিস্থিতি গভীরভাবে বিবেচনার পরামর্শ দেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনার মাধ্যমে বিতর্কের অবসান ঘটবে এমন আশাবাদের কথা জানালেও একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিতেও ভোলেননি ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তার ভাষায়, ‘ভারত কোনো দেশের অহংকারে আঘাত করতে চায় না। আবার একইসঙ্গে নিজের অহংকার খর্ব করার কোনো প্রচেষ্টাকেও বরদাশত করে না।’
উত্তেজনার মধ্যেই লাদাখে চীন-ভারত বৈঠক : সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই চীন ও ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন ১৪ কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। খবর এনডিটিভির। শনিবার (৬ জুন) দুই দেশের সীমান্তবর্তী পশ্চিম লাদাখের সেনা ছাউনি চুশুল মলডোতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতের পক্ষ থেকে চীনকে বৈঠকের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। এতে চীনের পক্ষ থেকে সাড়া মেলে। কলকাতার প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, বৈঠকের আগে সদর্থক বার্তা দিয়েছে চীন।
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কমাতে দু’পক্ষই কিছুটা নমনীয় অবস্থান নিতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক ও সামরিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও একটি অংশের মতে, ডোকালামের মতো কয়েক মাস ধরে এ সেনা মোতায়েন এবং তার জেরে উত্তেজনার পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে লাদাখ সীমান্তে।