বন্দর প্রতিনিধিব:
বন্দরের ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিল দিকে এখন সকলের দৃষ্টি। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে ৩ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জনের সম্ভাব্য নাম শোনা যাচ্ছে। ত্যাগী ও তৃনমূলের অভিমত নৌকাকে ডুবানোর সেই মাঝির হাতে কি পুনরায় নৌকার বৈইঠা দেয়া হবে।
সভাপতি পদে যে ৩ জনের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে নৌকা ডুবানোর একজন আটঘাট বেঁধে নেমেছে। কালো টাকার মাধ্যমে ভোট নিজের কবজায় নিতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন ভাবে কাজ শুরু করেছে।
ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদেও রয়েছে এক বির্তকিত নেতার নাম। বিগত নির্বাচনে নৌকাকে ডুবানোর মাঝি মাসুম আহম্মেদ এখন আবার ওই ইউনিয়নের সভাপতি হতে চায়।
তার ভগ্নিপতি খন্দকার হাতেম হুসাইন, তার ভায়রা মুছাপুরের বিএনপির পরিবারের, ভাতিজা মেম্বার, আবার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী, অহিদুজ্জামান অহিদ, ভাতিজি জামাই, এত কিছুর পরও নৌকাকে ডুবিয়ে আবার বৈইঠা চাই, পারিবারিক ভাবে রয়েছে (দুই ভাগিনা), মাদকের সাথে জড়িত।
সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহম্মেদ। ধামগড় ইউনিয়নের সন্তান। পেশায় একজন ব্যবসায়ী হলেও ৫ বছর ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে কম যাননি।
ক্ষমতার দাপটে ধরাকে সরা ঞ্জান করা ছিল যার কাজ। অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে নিজের ইটভাটা পরিচালনার অপরাধে মোবাইল কোর্ট জরিমানা করেছিল। পারিবারিক ভাবে নিজের ছেলে ও ২ ভাগিনার বিরুদ্ধে রয়েছে সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ। পুলিশের হাতে একাধিক বার গ্রেফতার হলেও মামা’র ক্ষমতার দাপটে তা মামলা পর্যন্ত যায়নি। জেলা পরিষদের সদস্য ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার পর প্রকাশ্য টেন্ডারবাজিতেও দেখা গেছে। যা ক্ষমতার সাড়ে ১৪ বছরে দলের কোন নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। পশুর হাটের টেন্ডারবাজিই না, গার্মেন্টেস’র জুট, অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। পবিত্র ঈদের রাতে মালিবাগ এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়েছে মাসুম আহম্মেদ। যে লাইন একাধিক বার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিল। মালিবাগ এলাকায় গ্যাস সংযোগ দেয়ার কথা মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাকসুদ হোসেন ও কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এইচ এম মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জনপ্রতিনিধিদের একজন খাদেমের কান্ড যদি এমন হয়, তাহলে দেশ, সমাজ বা সংগঠনই কি আশা করতে পারে।
বন্দর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ঘাটি। সেই ঘাটিতে নৌকাকে ডুবিয়ে নানা কৌশলে উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদসহ জেলা পরিষদের সদস্য পদও বিশাল ভোটে ভাগিয়ে আনেন। জেলা পরিষদের সদস্যের ব্যাক্তিগত অফিস থাকতে পারবে। জেলা পরিষদের ব্যানারে কোন কার্যালয় থাকতে পারবে না যা গেজেটে স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও ডোন্ট কেয়ার মি: মাসুম আহম্মেদ। যা নিয়ে এর পূর্বে নিউজ হয়েছিল, যেখানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল বলেছিলেন, এটা করার কারো অধিকার নেই। যদি কেউ করে থাকে তাহলে তাকেই এর জবাব দিতে হবে।
এদিকে আসন্ন ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
একজন লোকের কয়টা পদ লাগে। তিনি কি একক আধিপত্য বিস্তার করতে যাচ্ছেন। তবে কাউন্সিল নিয়ে শংকায় ত্যাগীরা। বন্দর ইউনিয়ন ও মুছাপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলে যেভাবে কালো টাকার প্রভাব বিস্তার করে। সেই কালো টাকার ছুবলে ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির তিলকও আটতে পারে। কালো টাকার থাবা থেকে মুক্ত করে সচ্ছ নেতার হাতে সভাপতি দায়িত্ব দেয়া উচিত যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার না করে সংগঠনের জন্য কাজ করতে পারে।