নাটোর প্রতিনিধি(জাকিয়া সুলতানা) : নাটোরের সিংড়া উপজেলার তিন ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বুধবার বিকালে উপজেলার রামানন্দ খাজুরা, ছাতারদিঘী ও সুকাশ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, শিলা বৃষ্টিতে ১৫০০-১৮০০ হেক্টর জমির ধানের ২৫-৩০শতাংশ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের ধানের ক্ষতি হয়েছে ৫০শতাংশ।
এলাকাবাসীরা জানান, শিলাবৃষ্টিতে সিংড়া উপজেলার বেলতা, পাঁচপাকিয়া, মালকুড়, থেলকুড়, কুচাইকুরি, এলাকাগুলোতে সবচাইতে বেশি ধানের ক্ষতি হয়। শিলা বৃষ্টির আঘাতে মাটির সঙ্গে নুইয়ে পড়েছে উঠতি ফসল গম, মসুর, ভূট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, ধানসহ বিভিন্ন ফসল ও সবজি। ঝরে পড়েছে সজনে ও গুটি আম । কোনো কোনো বাগানে আম গাছের ডালপালাও ভেঙে পড়েছে।
এদিকে, ফসলের পাশাপাশি কাঁচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরের দেয়াল ভেঙে গেছে, উড়ে গেছে ছাউনি। বিশেষ করে শতাধিক বাড়ির টিন ফুটো হয়ে গেছে।
বুধবার (২২শে’ এপ্রিল ) বিকেল ৩টার দিকে হঠাৎ শুরু হওয়া এ শিলা বৃষ্টি ২০/৩০ মিনিট স্থায়ী হয়।
কৃষকরা জানান, ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে আমাদের মাঠের সব ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। মাঠ থেকে ফসল আর বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবো না। এ ধরনের ঝড় ও শিলা বৃষ্টি বিগত বছরেও দেখেনি বলে তারা উল্লেখ করেন।
রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুকুল হোসেন বলেন, এ বছরের শিলাবৃষ্টিতে বহু কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। অনেক দিনমজুরের ঘড় বাড়ি ভেঙ্গে গেছে।
ছাতারদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দ জানান, তাঁর ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে রামনগর, ছাতারদিঘী, খন্দকার বড়বাড়ি এলাকায় কৃষকের ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১৫০০ শ হেক্টর জমির ফসলহানির খবর পেয়েছি। সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করবো।