ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সাবেক সদস্য আলহাজ্ব ডক্টর মোঃ কামরুজ্জামান।
আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য সচিব, সৎ,নিষ্ঠাবান,কর্মী মূল্যায়নকারী শেখ আব্দুল্লাহ গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের নির্বাচনী এলাকার রাজনৈতিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকা- দেখাশোনার জন্য তার প্রতিনিধি হিসেবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
এক শোক বার্তায় ড.কামরুজ্জামান বলেন, শেখ মো. আব্দুল্লাহর মৃত্যু দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাট ক্ষতি।তার মৃত্যুতে দেশ একজন পরীক্ষিত রাজনৈতিক নেতাকে হারাল। তিনি শেখ মো. আব্দুল্লাহর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ ১৯৪৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতী নদীর তীরবর্তী কেকানিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত ধার্মিক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম আলহাজ শেখ মো. মতিউর রহমান এবং মাতা মরহুম আলহাজ মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
শেখ মো. আব্দুল্লাহ শিক্ষাজীবন শেষে সুলতানশাহী কেকানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি অ্যাডভোকেট হিসেবে গোপালগঞ্জ ও ঢাকা জজকোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে ছাত্রজীবনেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি খুলনার আযম খান কমার্স কলেজে প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট মুজিব বাহিনীর সঙ্গে তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকা-ের মাধ্যমে দেশসেবা করার লক্ষ্যে চাকরির পরিবর্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং তার নেতৃত্বে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।