চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে রেকর্ড ১,২০২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় মোট আক্রান্ত ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। এই সময়ে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ২৯৮ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বরণ করা ১৫ জনের মধ্যে পুরুষ সাতজন, নারী আটজন।
ছাড়ানো আক্রান্ত নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০,০৬৫ জন। এর মধ্যে আরোগ্য লাভ করেছেন ৩,৮৮২ জন; চব্বিশ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৭৯ জন।
করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে শুক্রবার দুপুরে এসব হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, বয়সের দিক থেকে মৃত্যুবরণ করা ১৫ জনের মধ্যে ৮১-৯০ বছরের মধ্যে দুজন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে আটজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে একজন এবং ২১-৩০ বছরের মধ্যে একজন।
চব্বিশ ঘণ্টায় দেশের ৪১টি (ঢাকায় ২০টি, ঢাকার বাইরে ২১টি) ল্যাব থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৯,৫৩৯টি, পরীক্ষা করা হয়েছে রেকর্ড ৮,৫৮২টি। তাতে একদিনে সর্বাধিক ১,২০২ দুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়।
এর আগে একদিনে সর্বাধিক আক্রান্ত ছিল ১৩ মে, ১,১৬৫ জন। ওই দিন ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯ জনের মৃত্যুর রেকর্ডও হয়।
চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছে ২৫৯ জন; ছাড় পেয়েছে ৮১ জন।
বর্তমানে আছেন ২ হাজার ৭৪৮ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭৯ জন।
একদিনে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৭৯৭ জনকে; ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৬ হাজার ৮০৫ জন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলে; এর দশ দিনের মাথায় ঘটে প্রথম মৃত্যু।