১৪ জুলাই ২০২০, তালহা জামানঃ
আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে পারবে ম্যানচেস্টার সিটি। উয়েফার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের আইন ভাঙ্গায় দুই বছরের জন্য ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল ইংলিশ ক্লাবটির ওপর তা তুলে নিয়েছে সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালত। জরিমানাও ৩ কোটি থেকে কমিয়ে ১ কোটি ইউরো করা হয়েছে।
শনিবার ব্রাইটনের বিপক্ষে ৫-০ গোলের জয়ে পরবর্তী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে সরাসরি খেলা নিশ্চিত করার পর পেপ গার্দিওলা বলেছিলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগে ফেরাটা আমাদের প্রাপ্য।’ সেই প্রাপ্যটা পেল ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি। উয়েফা ও নিজ ক্লাবের প্রতি তার আস্থা আছে। গার্দিওলা তার প্রাপ্য ফিরে পেলেন। গতকাল কোর্ট অব আর্বিট্রেশন অব স্পোর্টস (সিএএস) বিবৃতিতে জানায়, ‘স্পন্সর থেকে পাওয়া অর্থে কোনো অনিয়ম খুঁজে পায়নি তারা। তবে তদন্ত করতে উয়েফাকে সব ধরনের সহযোগিতা না করায় জরিমানা করা হয়েছে সিটিকে।’
ম্যানসিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে স্পন্সরশিপ থেকে আয়কৃত মোট অর্থের সঠিক হিসাব দেয়নি। ক্লাব কর্র্তৃপক্ষ অর্থের অঙ্ক বাড়িয়ে বলেছে। উয়েফার আর্থিক নিয়মাবলি মানেনি। এই অভিযোগ সামনে আসে ২০১৮ সালের নভেম্বরে, জার্মান ম্যাগাজিন ‘ডার স্পিগেল’ সিটির এই অর্থ সংক্রান্ত অনিয়মের কিছু ই-মেইল নথি প্রকাশ করার পর।
ম্যানসিটি চ্যাম্পিয়নস লিগ না খেলতে পারলে তাদের ১০ কোটি পাউন্ডের মতো ক্ষতি হতো। ২০০৮ সালে শেখ মনসুরের আবুধাবি ইউনাইটেড গ্রুপ ম্যানচেস্টার সিটিকে কিনে নেয়। এরপর থেকেই বদলে যেতে থাকে ম্যানসিটি। গত ৮ বছরে ক্লাবটি চারটি প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে। শনিবার এফএ কাপের সেমিফাইনাল খেলবে তারা আর্সেনালের বিপক্ষে। আগস্টে খেলবে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রি-কোয়ার্টারের দ্বিতীয় লেগ (নিজ মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে প্রথম লেগে ২-১ গোলে এগিয়ে আছে তারা)।
কোনো ক্লাব যেন বেশি অর্থ বিনিয়োগ করে খেলোয়াড়দের বেতন ও দলবদলে প্রভাব না ফেলতে পারে তা রুখতে ২০১১-১২ মৌসুম থেকে ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে চালু করে উয়েফা।