করোনায় মনোবল হারাবেন না। উপসর্গ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে পরিবারের অন্যদের কাছ থেকে নিজেকে আলাদা করে ফেলুন। সবার হাসপাতালে যেতে হয় না, বাসাতেই চিকিৎসা সম্ভব’। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এসব কথা বলেন করোনাজয়ী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মির্জা নুরুল করিম।
টানা ২০ দিন নিজের বাসায় থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। করোনা থেকে মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আক্রান্ত হলে মনোবল শক্ত রাখতে হবে। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যেতে হবে। বাসায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে দৌঁড়াদৌঁড়ি করা উচিত নয়। দেখা যায়, অনেক রোগী লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। করোনা রোগী ৮০ শতাংশ বাসায় চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যায়। বাকিদের মধ্যে যাদের অবস্থা খারাপ তারাই হাসপাতালে যাবেন। তাহলে তারা হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা পাবেন।
গত ২০ এপ্রিল থেকে শুকনো কাশি হয়। এর দুদিন পর থেকে জ্বর আসে। তার আগে থেকেই তিনি নিজেকে আলাদা করে ফেলেন। ২৭ এপ্রিল নমুনায় করোনা পজেটিভ আসে। বাসায় স্ত্রী, সত্তরোর্ধ মা এবং ১০ বছর বয়সী মেয়ে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের কথা ভেবে কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। বাসায় চিকিৎসা নেয়ার এক পর্যায়ে উপসর্গ পুরোপুরি চলে যায়। এরপর দুই বার নমুনায় করোনা নেগেটিভ আসে। আক্রান্তের পুরোটা সময় হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেন তিনি। তিনি বলেন, হাসপাতালে গেলে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। তবে তার সহকর্মীরাও তাকে সহযোগিতা করেছেন বলে জানান তিনি।
set.16may