লাগামহীন কথা বলে বিপদের মুখে পড়তে যাচ্ছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের (সিডব্লিউআই) সভাপতির দাবি, বড়ো শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
গত মাসের শেষ দিকে ইউটিউব ভিডিওতে জ্যামাইকা দল ও সারওয়ানকে আগ্রাসী ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন গেইল। তিন বছরের চুক্তি থাকলেও এক বছর পরই জ্যামাইকা ছেড়ে দেয় গেইলকে। তিনি নাম লেখান সেন্ট লুসিয়া জুকসে। টি-টোয়েন্টির সফলতম ব্যাটসম্যান এরপর পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ার অভিযোগে তার সাবেক সতীর্থ ও জ্যামাইকার সহকারী কোচ সারওয়ানকে বলেছিলেন ‘সাপ এবং করোনা ভাইরাসের চেয়েও খারাপ।’ জ্যামাইকা দলের মালিকদেরও কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তিনি।
সারওয়ান তার বিরুদ্ধে গেইলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এরপর এটি নিয়ে আর কিছু হয়নি। তবে ত্রিনিদাদের একটি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে স্কেরিট বললেন, বোর্ড গেইলের প্রকাশ্য মন্তব্যকে ভালোভাবে নেয়নি।
তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য এসব মোটেও ভালো কিছু নয়। এসব খবর পড়তে অবশ্যই আমার খুব ভালো লাগেনি। কোনো ক্রিকেটার যদি কোনো ক্লাব, ফ্র্যাঞ্চাইজি বা বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকে, অবশ্যই তাকে কিছু শর্ত মেনে চলতে হয়। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো আচরণ তারা করতে পারে না। আমি তাই বলতে পারি, এই ব্যাপারটি এখনই শেষ হয়ে যায়নি। আমি নিশ্চিত, ক্রিস (গেইল) ও সিপিএল কর্তৃপক্ষের মধ্যে এটি নিয়ে আলোচনা চলছে, কারণ সে তো একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলে চুক্তিবদ্ধ।’
গেইলের এতটা ক্ষুব্ধ হওয়ার একটি বড়ো কারণ ধারণা করা হচ্ছে, তার চাওয়া ছিল তিন বছরের চুক্তিতে জন্মভূমি জ্যামাইকার হয়েই ক্যারিয়ার শেষ করা। কিন্তু এক বছর পরই জ্যামাইকা তাকে ছেড়ে দিয়েছে। এখন বড়ো কোনো শাস্তি পেলে ৪০ বছর বয়সি গেইলের ক্যারিয়ার নিয়েও থাকবে শঙ্কা।
স্কেরিট অবশ্য বলছেন, তিনি চান না এভাবে শেষ হোক গেইলের গৌরবময় ক্যারিয়ার। বললেন, ‘আমি আশা করব, তার ক্যারিয়ারের দিক থেকে এটি গোটা বিশ্বের জন্য আলোচনার খোরাক হবে না। কারণ অসাধারণ এক ক্যারিয়ার তার, আমি সত্যিই চাই না, এই ক্যারিয়ার এমন একটি ঘটনায় শেষ হোক।’
fri.15may