০২ জুলাই ২০২০,SS Apolo
করোনাভাইরাসে দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও (আগের দিনের তুলনায়) বেড়েছে শনাক্তের হার। এ সময় আরও ৪১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৮৮৮ জনে। আগের দিন দেশে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৭৫ জন। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হল ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৮ জন।
ডা. নাসিমা সুলতানা আরও জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব বয়সের মানুষ বেশি। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে যাটোর্ধ্ব ৪৩ দশমিক ২৭ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৮ দশমিক ৮১ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং ১০ বছরের নিচে শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ।
তিনি বলেন, দেশে ৬৯টি পরীক্ষাগারে ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৮৯৮টি নমুনা সংগ্রহ হয়। আগের নমুনা মিলিয়ে ১৭ হাজার ৮৭৫টি পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৫টি নমুনা। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১০০ বছরের একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৪ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭, বরিশাল বিভাগে ৩, খুলনা বিভাগে ৫, সিলেটে ২ জন এবং রংপুর বিভাগে একজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ২৩ এবং বাসায় ১৮ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও জানান, ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৯৫৫ জনকে। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ৫৪৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ৫৫৫ জন এবং এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৯৯৫ জন ছাড় পেয়েছেন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৭ হাজার ৫৪২ জন। ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম মিলিয়ে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৪২৯ জনকে। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৯৫ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৪১৪ জন এবং এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ২ হাজার ৪১৩ জন ছাড় পেয়েছেন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৩ হাজার ৮৮২ জন।
করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের কয়েকটি এলাকা বন্যাকবলিত। সরকার দুর্গতদের সহায়তায় কাজ করছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে সব ধরনের ওষুধ বন্যাদুর্গত এলাকায় পৌঁছানো হয়েছে। করোনা মোকাবেলায় দুর্গত এলাকায় সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে মারা যাওয়া থেকে সতর্ক থাকুন।