মিলান শহরের সান রাফায়েল হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক আলবার্তো জাংরিলো বলছেন, ‘বাস্তবতা হল ইতালিতে ভাইরাসটি ক্লিনিক্যালি আর নেই। এক অথবা দুই মাস আগে যে অবস্থা ছিল গত দশদিনে তা পরিমাণগত বিবেচনায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পর্যায়ে চলে এসেছে।

’রয়টার্স জানিয়েছে, জাংরিলো ইতালির আরএআই টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রবিবার এসব কথা বলেন।

ইতালিতে মে মাসের শুরুতেও ভয়াবহ অবস্থা ছিল। কিন্তু শেষ দিকে পরিস্থিতি বেশ নিয়ন্ত্রণে সেখানে।

প্রক্রিয়াধীন থাকা ‘বৈজ্ঞানিক প্রমাণের’ কথা উল্লেখ করে জাংরিলো বলছেন, ‘ভাইরাসটি ইতালি থেকে চলে গেছে। যারা ইতালিয়ানদের দোটানায় ফেলছেন তাদের আমি এটি না করতে আহ্বান জানাতে চাই। ’

ইতালির আরও একজন ডাক্তার ভাইরাসটির দুর্বল হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এএনএসএ  নিউজ এজেন্সিকে মাত্তিও বাসেটি নামের ওই চিকিৎসক বলেন, ‘দুই মাস আগে ভাইরাসের যে শক্তি ছিল এখন আর সেটি নেই। ’

তার দাবি, কভিড-১৯ এখন পরিষ্কারভাবে ভিন্ন রোগ!

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইতালিতে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৭ জন আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি ৩৩ হাজার ৪১৫ জন মারা গেছেন।

গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া কভিড-১৯ রোগে গোটা পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত ৬১ লাখ ৬৫ হাজার ১৮১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

মারা গেছেন ৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৯৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯৬ জন