০২ জুলাই ২০২০,তালহা জামানঃ
করোনা পরিস্থিতিতে এক অন্য রকম আবহে এবার কানাডায় উদযাপন হলো দেশটির ১৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও অকৃত্রিম ভালোবাসায় বৃহস্পতিবার কানাডাবাসী পালন করে দেশটির ১৫৩তম জন্মদিন।
বছরের বেশিরভাগ সময় বরফাচ্ছন্ন থাকা কানাডার জন্মদিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নানা আয়োজনে পালন করেন কানাডা দিবস।
কানাডার ক্যালগ্যারির স্থানীয় জেনেসিস সেন্টার, প্রেইরি উন্ডসপার্ক, রকিভিউ এলাইন্স, ডাউন টাউনসহ প্রায় প্রতিটি স্থানেই কানাডাতে প্রতি বছর থাকে উপচেপড়া ভিড়।
কিন্তু এ বছর তার ব্যতিক্রম, করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সীমিতসংখ্যক লোক সমাগম হয় বাইরের অনুষ্ঠানগুলোতে।
ক্যালগ্যারিতে বাংলাদেশ-কানাডা অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কানাডা দিবস উপলক্ষে দেশটিকে আরও সবুজ করতে নতুন প্রজন্মের মাঝে বিভিন্ন গাছের বীজ/চারা, সার, মাটি বিতরণ করা হয়।
খ্যা মাত্র ৩ কোটি ৬ লাখ। যার রয়েছে ১০টি প্রদেশ এবং ৩টি রাজ্য।
১৯৭১ সালে কানাডাই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ঘোষণা দেয় মাল্টিকালচারিজমের, যার মূলমন্ত্র হলো– সব নাগরিকের থাকবে সমান অধিকার ও দায়িত্ব।
যার ফলস্বরূপ দেশটির জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি লোক অভিবাসী হয়ে দেশটিতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। কানাডা শান্তি রক্ষায় সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
কানাডার ইমিগ্রেশন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় আড়াই লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী পাড়ি দেন কানাডায়।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কানাডার বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, শিক্ষাব্যবস্থা, চিকিৎসা, যোগাযোগব্যবস্থা, জীবনের নিরাপত্তা, স্থিতিশীল অর্থনীতি, শক্তিশালী ব্যাংকিংব্যবস্থার কারণে দেশ হিসেবে বিশ্বের সবার কাছে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং আলবার্টা প্রিমিয়ার জেসন কেনি পৃথক পৃথক শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন।
১৯৭১ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যেসব দেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল, তাদের মধ্য অন্যতম দেশ কানাডা।
সেই কানাডার জন্মদিনেই দেশটির আরও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি হোক, প্রচুরসংখ্যক বাঙালি এখানে এসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং প্রবৃদ্ধিতে বিরাট ভূমিকা রাখুক এমনটিই প্রত্যাশা এখানকার প্রবাসী বাঙালিদের।