১৫ জুলাই ২০২০, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
অনেকটা চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা সংক্রান্ত নতুন সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আর যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে না।
আগের সিদ্ধান্ত ঘোষণার ঠিক এক সপ্তাহ পর ট্রাম্প সরকার এই ইউ-টার্ন নিয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এর আগে ৬ জুলাই ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) জানিয়েছে, আসন্ন ফল সেমিস্টার থেকে আমেরিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যদি পুরোপুরি অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করে, তাহলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়া সেখানে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদেরও ভিসা দেওয়া হবে না।
করোনাভাইরাস অবনতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে ট্রাম্প প্রশাসন এমন নির্দেশনা দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৮ জুলাই ফেডারেল কোর্টে মামলা করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। হার্ভার্ড এমআইটির এই পদক্ষেপের সমর্থন করে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আদালতে ওই মামলায় যোগ দেয়।
এছাড়া এই সিদ্ধান্তের স্থগিতাদেশ চেয়ে ওই মামলায় যোগ দেয় টেক কোম্পানিগুলো। ইউএস চেম্বার অব কমার্স ও অন্য আইটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলো বলছে, এই সিদ্ধান্ত তাদের নিয়োগের পরিকল্পনা ব্যাহত করবে, বোর্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার প্রশাসনের নির্দেশনাটি বাস্তবায়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয় ক্যালিফোর্নিয়াসহ ১৮টি অঙ্গরাজ্য ও ডিসট্রিক্ট অব কলম্বিয়া। দৃশ্যত এই চাপের মুখে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসল ট্রাম্প প্রশাসন।
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের বেআইনি নীতি কভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কলেজগুলোতে পড়াশোনা করা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর নির্বাসন শঙ্কা তৈরি হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে উচ্চতর শিক্ষা নিতে আসা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১০ লাখের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ছিলেন।