১৯ জুলাই ২০২০ তালহা জামানঃ
ক্রিকেটারদের এখনো একক অনুশীলনে আসতে উৎসাহিত করছে না বিসিবি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনো ভালো নয়। প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে যতটা দূরে থেকে ঘরে বসে যা কিছু ফিটনেস কার্যক্রম করা যায় তাই এখনো চাইছে বিসিবি। কিন্তু কয়েকজন ক্রিকেটার মাঠের অনুশীলন চাইছেন বেশি করে। গেল সপ্তাহে তাই যাদের এই একক অনুশীলন করার ইচ্ছে তাদের নাম আহ্বান করে বিসিবি। নাম এসেছে ৯ জনের। তিন সংস্করণে দেশের তিন অধিনায়ক মুমিনুল হক, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহর মধ্যে কারও নাম নেই এই তালিকায়।
স্বাভাবিকভাবে দেশের সবচেয়ে পরিশ্রমী ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত মুশফিকুর রহিমের নাম সবার আগে। বাকিরা হলেন ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন, শফিউল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, নুরুল হাসান সোহান, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও নাসুম আহমেদ। এদের মধ্যে মুশফিক, ইমরুল, মিঠুন ও শফিউল মিরপুরে অনুশীলন করবেন। মিরাজ ও সোহান খুলনায়, খালেদ ও নাসুম সিলেটে আর নাঈম চট্টগ্রামে অনুশীলন করবেন।
এই অনুশীলন পর্ব চলবে খুব সীমিত আকারে। প্রথমে কথা হচ্ছিল শুধু ফিটনেস নিয়ে। কিন্তু মুশফিকের মতো অধ্যবসায়ী ও ধারাবাহিক ক্রিকেটার তো নিয়মিত ঘরে জিম করে ফিটনেস ঠিক রেখেছেন। স্কিল নিয়ে কাজ করা জরুরি তার জন্য। ব্যাটিং অনুশীলন দরকার। আজ থেকে মাঠে ফেরা সবাই অবশ্য ব্যাটিং পাবেন না।
এটাকে যদি ফেরার প্রথম পর্ব বলা যায় তাহলে সেটা ঈদের আগের রুটিন হিসেবে আগামী রবিবার বা ২৬ জুলাই পর্যন্ত নির্ধারিত। ঢাকায় অনুশীলন করা চার ক্রিকেটার অ্যাকাডেমি মাঠে অনুশীলন করতে পারবেন। তাদের জন্য অ্যাকাডেমির জিম খোলা
থাকবে। ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলনের সুযোগ থাকছে। সময়টাও সীমিত। একেকজনের জন্য দিনে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টার মতো। প্রত্যেকের এক সপ্তাহে চারদিনের অনুশীলন সুযোগ মিলছে।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট মাঠে ফাস্ট বোলার খালেদ ও স্পিনার নাসুম অনুশীলন করবেন। খালেদ রবিবার পর্যন্ত ৫ দিন ও নাসুম ৬ দিন মাঠে আসবেন। ঢাকা ছাড়া স্কিল ট্রেনিংয়ের সুযোগ থাকবে না আর কোথাও। মানে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ক্রিকেটাররা কেবল জিম ও রানিং করতে পারবেন। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে মিরাজ এই এক সপ্তাহে ৫ দিন ও সোহান ৬ দিন ফিটনেস ট্রেনিং করবেন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্পিনার নাঈম সপ্তাহের ৬ দিন ট্রেনিং করবেন।
এই ট্রেনিংয়ে স্বাস্থবিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রবেশের জন্য একটি মাত্র গেট খোলা থাকবে। তাও ৩ ঘণ্টার জন্য। এখানে মিডিয়ার উপস্থিতিকেও নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। কেবল ভিডিও ফুটেজ নেওয়ার ও ছবি তোলার সীমিত সুযোগ দেওয়া হবে। ইনডোর ও বিসিবি অফিসে প্রবেশ নিষিদ্ধ। একক অনুশীলনের এই সময়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে মিডিয়ার কথা বলা বা ইন্টারভিউর কোনো সুযোগও থাকছে না।