১৮ জুন ২০২০ SS Apolo
প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও বাজারে গতি আসেনি। তারল্যপ্রবাহ বাড়ছে না। অনেকটা ক্রেতাশূন্য শেয়ারবাজার। এদিকে বাজারে গতি ফেরাতে আরও ৬টি দাবি করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির বোর্ডসভায় সরকারের কাছে এসব দাবি তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে বাজেট ঘোষণার পরপর প্রস্তাবিত বাজেটকে শেয়ারবাজারবান্ধব বলেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে ১০ শতাংশ কর দিয়ে শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়। বাজেট প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, এবার কালো টাকা বিনিয়োগ করা হলে কোনো কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রশ্ন করা হবে না। তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তিন বছরের লকইন দেয়া হয়। অর্থাৎ যিনি বিনিয়োগ করবেন, তিন বছরের মধ্যে আর বিক্রি করতে পারবেন না।
এদিকে বাজেট ঘোষণার পরও নেতিবাচক শেয়ারবাজার। প্রতিদিনের লেনদেন ১০০ কোটি টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের কোনো ক্রেতা নেই। এখনও কৃত্রিম সাপোর্ট দিয়ে বাজার টিকিয়ে রাখা হয়েছে। এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটকে বিনিয়োগকারীবান্ধব বলেছে ডিএসই। তবে সম্প্রতি ডিএসইর বোর্ডসভায় আরও ৬টি দাবি তুলে ধরার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে- কালো টাকার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকৃত অর্থ সম্পূর্ণভাবে লকইন ফ্রি এবং করহার ৫ শতাংশ করা, ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে শেয়ার লেনদেনের ওপর উৎসে কর দশমিক ০৫ শতাংশের পরিবর্তে দশমিক ১৫ শতাংশ করা, লভ্যাংশ আয়ের করমুক্তসীমা ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা, তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট করহার বিদ্যমান ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমা কোম্পানির করহার ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা, দুই মাসের মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফ ও চলতি অর্থবছরের সিডিবিএল বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি মওকুফের দাবি জানিয়েছে ডিএসই।